সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যভিচারের জন্য নারীদের পাথর মেরে হত্যার বিধান ফিরিয়ে আনল তালেবান

ব্যভিচারের জন্য নারীদের পাথর মেরে হত্যার বিধান ফিরিয়ে আনল তালেবান

তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা।

ব্যভিচারের জন্য নারীদের প্রকাশ্যে পাথর মেরে হত্যা করার বিধান ফের কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগানিস্তানের তালেবান সরকার। গত শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি অডিওবার্তায় তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এ ঘোষণা দিয়েছেন।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা টেলিগ্রাফ এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

টেলিগ্রাফের প্রকাশিত একটি ভিডিওতে আখুন্দজাদা বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নারীদের অধিকারের পক্ষে যেই ওকালতি করছে তা তালেবানের ইসলামিক শরিয়া আইনের ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে।

আখুন্দজাদা বলেন, ‘আপনারা (নারী অধিকারের পক্ষে কাজ করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়) বলেন, আমরা পাথর মেরে নারীদের হত্যা করলে এটা নারীর অধিকারের লঙ্ঘন। কিন্তু আমরা শিগগিরই ব্যভিচারে লিপ্ত নারীদের শাস্তি কার্যকর করব। আমরা নারীদের জনসমক্ষে বেত্রাঘাত করব। আমরা তাঁদের জনসমক্ষে পাথর মেরে হত্যা করব। কাবুলের দখল করেই তালেবানের কাজ শেষ হয়নি, এটি কেবল শুরু হয়েছে।

২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে আফগানিস্তানের নারীরা অনেক প্রতিবন্ধকতার মুখে রয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে মেয়ে এবং নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান এবং পাবলিক স্পেসে কোনো প্রবেশাধিকার নেই।

ক্ষমতায় ফিরে আসার মাত্র এক মাস পরে তালেবান কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ করে। তার আগে মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছিল এবং কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণকে ব্যাপকভাবে সীমাবদ্ধ করে।

আফগানিস্তানে নারী ও মেয়েদের অবস্থা ‘বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে খারাপ’ বলে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসলামের গোঁড়া ও কঠোর ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে তালেবান সরকারের নীতি ‘লিঙ্গ বৈষম্যমূলক’।

আফগানিস্তানের একজন তরুণ শিক্ষার্থীর বরাত দিয়ে এএফপি বলেছে, অনেক পরিবারের জন্য এখন একমাত্র পথ খোলা। আর সেটি হলো পরিবারের মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া, সেখানে মেয়েদের সম্মতি থাকুক বা না থাকুক।

ওই শিক্ষার্থী এএফপিকে আরও বলেন, ‘আফগানিস্তানজুড়ে ব্যাপক হতাশা বিরাজ করছে। গত দুই বছরে মেয়েদের আত্মহত্যার হার অনেক বেড়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক।’

আরও পড়ুন:

আরও পড়ুন

বাংলার শিরোনাম ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সর্বশেষ সংবাদ