শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এই সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব: ফখরুল

এই সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব: ফখরুল

এই সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব : মির্জা ফখরুল

এই সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করব : মির্জা ফখরুল

নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সবাইকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। আসুন, সবাই আরেকবার জেগে উঠি। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে আরেকটি যুদ্ধ করে, এই সরকারকে পরাজিত করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো ইনশাল্লাহ।

আজ শনিবার কুমিল্লা টাউন হল মাঠে বিএনপির গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বেলা ১১টায় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে বিএনপির এই গণসমাবেশ শুরু হয়। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি, নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদে সারা দেশের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগে এ গণসমাবেশ করছে বিএনপি।

বিএনপির নির্বাচনে জয়ী হলে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, কথা বেশি নাই, জোর করে দুই বার আওয়ামী লীগ ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচন করেছে। ২০১৪ তে কেউ ভোট দিতে যায়নি। তিনি (শেখ হাসিনা) নাকি আবার নির্বাচন করবেন। যশোরে তিনি রাষ্ট্রীয় খরচে সমাবেশে বলেছেন, আওয়ামী লীগে ভোট দিলে মানুষ শান্তিতে থাকে। আপনারা (উপস্থিত জনতা) কি শান্তিতে আছেন? এখন সবাই বলছে, আগে জানলে তোর ভাঙা নৌকায় উঠতাম না। জনগণ ভাঙা নৌকায় উঠতে চায় না। তাই সময় থাকতে মানে মানে কেটে পড়ুন। অন্যথায় কীভাবে বিদায় করতে হয়, তা এ দেশের মানুষ জানে।

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের জামানত থাকবে না। তাই আবারও ফন্দিফিকির করছে, ইভিএম দিয়ে ভোট নিতে চাচ্ছে। আবার সেই গায়েবি মামলা শুরু করেছে। রাজশাহীতে ১১টি গায়েবি মামলা হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণ মামলা হয়েছে। কিন্তু কেউ ককটেল বিস্ফোরণের আওয়াজই পায়নি।

তিনি বলেন, গত ২২ তারিখ থেকে ১০৪টি মামলা দিয়েছে ঢাকাসহ সারা দেশের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে, ঢাকায় যাতে ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ বন্ধ করতে পারে। আজকে কি আপনাদের সমাবেশ বন্ধ করতে পেরেছে? রাজশাহীতেও করা যাবে না। ঢাকাতেও করা যাবে না। নয়াপল্টনেই সমাবেশ করতে দেবে।

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগুন সন্ত্রাসের কথা বলেন, আরে অগ্নিসন্ত্রাস তো করেন আপনারা। আওয়ামী লীগের চুরির কথা বলতে গেলে দিন রাত পার হয়ে যাবে। এখন ট্রেজারিতে টাকা নেই। রিজার্ভ কি আমরা চিবিয়ে খেয়ে ফেলেছি? রিজার্ভ আপনারা গিলে খেয়ে ফেলেছেন।

তিনি বলেন, আগামী তিন মাস আমদানির টাকা পরিশোধের রিজার্ভ নেই। একটি সংস্থা থেকে বলা হয়েছে, গত ১০ বছরে ৮৬ লাখ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়েছে। বিদ্যুতের জন্য ৭৮ লাখ কোটি টাকা পাচার করেছে। আমাদের শ্রমিকদের-কৃষকদের আয় কি বাড়ে না। তারা (আওয়ামী লীগ) চুরি করে করে ফুলে ফেঁপে মোটা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই সমাবেশ সফল করতে লিফলেট বিতরণকালে ছাত্রনেতা নয়নকে গুলি করে হত্যা করেছে। আজকে সমাবেশে তার বাবা কথা বলেছেন, তার চোখে কোনো অশ্রু ছিল না, ছিল আগুন।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে চার বছর কারাগারে রেখেছেন। তারেক রহমানকে বিদেশে রেখেছেন। এখন আমাদের (বিএনপি সিনিয়র নেতারা) মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রেখে তারা নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে চায়।

তিনি বলেন, এই দেশে কোনো নির্বাচন হবে না; যতদিন শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করেন। সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে, সেই কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।

আরও পড়ুন:

আরও পড়ুন

বাংলার শিরোনাম ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সর্বশেষ সংবাদ