
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ভোক্তা পর্যায়ে লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি)’র মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।[ads1]
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মূসকসহ বেসরকারি খাতে ১২ কেজি সিলিন্ডারের এলপি গ্যাসের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৯৭৫ টাকা। আর রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম সর্বোচ্চ ৫৯১ টাকা।
রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির মূসকসহ দাম হবে প্রতি কেজি ৭৯ টাকা শূন্য ১ পয়সা। আর বেসরকারি বোতলজাত এলপিজির প্রতি কেজির মূল্য ধরা হয়েছে মূসকসহ ৮১ টাকা ৩০ পয়সা।
ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার অটোগ্যাসের সর্বোচ্চ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৭ টাকা ৯২ পয়সা।
১২ কেজির বোতল হাতবদলের ক্ষেত্রে পরিবহন ভাড়াসহ ডিস্ট্রিবিউটর বা বিপণন চার্জ ৫০ টাকা, ডিলার রিটেইলারের চার্জ ৩০ টাকা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের সঙ্গে যুক্ত আছে।
সোমবার ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দাম নির্ধারণের এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল জলিল।
তিনি বলেন, গত মার্চে মধ্যপ্রাচ্যের জ্বালানি কোম্পানি সৌদি আরামকোর প্রোপেনের মূল্য প্রতি টন ৬২৫ ডলার ও বিউটেনের মূল্য প্রতি টন ৫৯৫ ডলার বিবেচনায় নিয়ে এবং এলপিজিতে ৩৫ অনুপাত ৬৫ হারে প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ বিবেচনায় নিয়ে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।[ads2]
প্রতি মাসে সৌদি আরামকো তাদের মূল্য সংশোধন করে। আরামকোর সঙ্গে মিল রেখে প্রয়োজন হলে বাংলাদেশেও মাসে মাসে এলপিজির দাম পুনর্নির্ধারিত হবে। মাসের নির্ধারিত সময়ে বিইআরসি তা জানিয়ে দেবে।
এলপিজির নতুন এই মূল্যহার নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে বিইআরসি।
প্রসঙ্গত, গত প্রায় তিন দশক ধরে দেশে এলপি গ্যাস বাজারজাতকরণ হয়ে থাকলেও এতদিন সরকারিভাবে এর দাম নির্ধারিত ছিল না।
বর্তমানে দেশের একেক প্রান্তে একেক দামে বিক্রি হচ্ছে এলপিজির বোতল।
রাজধানীতে ১২ কেজি বা সাড়ে ১২ কেজির একটি বোতলের খুচরা মূল্য ১০৫০ টাকা থেকে ১১০০ টাকার মধ্যে রয়েছে। তবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উপজেলাগুলোতে সাড়ে ৯০০ টাকায়ও মিলছে এলপিজির ১২ কেজির বোতল। এ ছাড়া ফিলিং স্টেশনগুলোতে প্রতিলিটার ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে অটোগ্যাস।
সরকার নির্ধারিত দাম বাস্তবায়ন হলে এ ক্ষেত্রে ভোক্তাদের প্রতারিত হওয়ার সুযোগ কমবে।