বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৯ মাঘ ১৪৩১

মিরপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ৭

মিরপুরে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, শিশুসহ দগ্ধ ৭

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট।

রাজধানীর মিরপুরে একটি টিনশেড বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে নারী-শিশুসহ ৭ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) ভোরে মিরপুর-১১ এর এভিনিউ-৫, সি-ব্লকের ১৬ নম্বর রোডের একটি বাসায় বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটে।

বিস্ফোরণে দগ্ধরা হলেন- রং মিস্ত্রী আব্দুল খলিল (৪০), তার স্ত্রী রুমা আক্তার (৩২), ছেলে হাফেজ আব্দুল্লাহ (১৩), মাদরাসাছাত্র মোহাম্মদ (১০) ও ইসমাইল (৪)। এছাড়া বিস্ফোরণে আব্দুল খলিলের পাশের বাসার ভাড়াটিয়া মো. শাহজাহান (২৫) ও তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার পারভিনও (২২) দগ্ধ হয়েছেন। তারা দু’জনই গার্মেন্টস কর্মী বলে জানা গেছে।

দগ্ধ আব্দুল খলিলের ভাতিজি নাসিমা আক্তার রুপালী জানান, তাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার চর বাংলাবাজার গ্রামে। তিন ছেলেসহ তার চাচা-চাচি মিরপুরের ওই বাসায় ভাড়া থাকেন। এছাড়া তাদের পাশের বাসায় ভাড়া থাকেন শাহজাহান ও স্বপ্না দম্পতি। ভোরে তিনি খবর পান, ওই বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে সবাই দগ্ধ হয়েছেন। পরে তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়।

দগ্ধ শাহজাহান জানিয়েছেন, রাতে তারা বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। রোববার ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে হঠাৎ বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। পরে ঘুম ভাঙতেই দেখেন চারদিকে আগুন জ্বলছে। তাদের শরীরে আগুন লেগে গেছে। পরে নিজেরাই বাসার বাইরে বের হন।

তিনি জানান, ওই বাসায় কোনো গ্যাস সিলিন্ডার নেই। তবে বাসার সামনে দিয়ে গ্যাস লাইন রয়েছে। দুই দিন আগে রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়া সেই গ্যাস লাইনে হঠাৎ আগুন জ্বলে উঠেছিল। পরে স্থানীয়রা সেই আগুন নেভান। শাহজাহানের ধারণা, ওই লাইন থেকে লিকেজ হয়ে তাদের ঘরের ভেতর গ্যাস জমে ছিল। পরে সেখান থেকেই বিস্ফোরণ ঘটেছে।

দগ্ধদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. শাওন বিন রহমান জানান, খলিলের ৯৫ শতাংশ শতাংশ ছাড়াও আব্দুল্লাহর ৩৮ শতাংশ, মোহাম্মদের ৩৫, রুমার ২০, ইসমাইলের ২০, স্বপ্নার ১৪ ও শাহজাহানের ৬ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

বাংলার শিরোনাম ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন