
একদিকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধবিরতি চেয়ে জাতিসংঘের বিবৃতি বারবার আটকে দিচ্ছে, অন্যদিকে ইসরায়েলকে সংঘাত কমিয়ে যুদ্ধবিরতির পথে যাওয়ার কথা জানাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বুধবার (১৯ মে) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে ফোন করে সংঘাত ‘উল্লেখযোগ্য হারে কমানোর’ কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।[ads1]
ফোনালাপে নেতানিয়াহুকে বাইডেন বলেছেন, ইসরায়েল উল্লেখযোগ্য হারে সহিংসতা কমিয়ে যুদ্ধবিরতির পথে যাবে বলে তিনি আশা করছেন।
এর আগের দিন মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তির কারণেই ইসরায়েল-হামাস সংঘাত বন্ধে যুদ্ধবিরতির বিবৃতি দিতে পারেনি জাতিসংঘ। এদিন সংস্থার নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ওই বিবৃতির বিরুদ্ধে ভেটো দেয় স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বিবৃতি প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি। যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে যৌথ বিবৃতি দেওয়ার উদ্যোগে এর আগেও বাধা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ফ্রান্স, মিসর ও জর্দান একসঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদে ওই প্রস্তাব পেশ করেছিল।[ads2]
অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুদ্ধবিরতি চেয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বরেল জানিয়েছেন, হাঙ্গেরি ওই প্রস্তাবে সই করতে রাজি হয়নি।
এদিকে ইসরায়েল ও হামাসের লড়াই ১০ম দিনের মতো অব্যাহত আছে। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় গতকাল গাজার আবাসিক এলাকার কয়েকটি ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। হামলায় এক সাংবাদিকসহ চার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আর হামাসের সামরিক শাখা ইয্যাদ্দিন কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা দখলদার ইসরায়েলের ছয়টি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট হামলা চালিয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে ইসরায়েলি বাহিনী জেরুজালেমের শেখ জারাহ এলাকার কয়েকটি ফিলিস্তিনি পরিবারকে উচ্ছেদের হুমকি দেয়। মূলত এ ঘটনার পরই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয় জেরুজালেমে। ইসরায়েলের হামলায় গতকাল পর্যন্ত ৬৩ শিশুসহ প্রাণ গেছে ২২৭ ফিলিস্তিনির।