শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

করোনা চিকিত্সায় আশার আলো খুঁজে পেয়েছে দাবি একদল গবেষকের

করোনা চিকিত্সায় আশার আলো খুঁজে পেয়েছে দাবি একদল গবেষকের

বিশ্ব জুড়ে মহামারি সৃষ্টি করা করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তির উপায় খুঁজেছে গোটা বিশ্ব। অনেক দেশের বিজ্ঞানীরা অনেক বার আশার আলো দেখিয়েছেন। একের পর এক ওষুধ কিংবা ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক সফলতার গল্প শুনিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্ববাসী রাজ্যের কৌতূহল নিয়ে পড়ছে সেসব খবর। কিন্তু কোনটিই চূড়ান্তমাত্রায় নিশ্চয়তা দিতে পারেনি যে, আসলেই সেগুলো বাস্তব ক্ষেত্রে কাজে লাগবে কি না। তাই এখনো ঝুলে আছে করোনা সারানোর ওষুধের বিষয়টা।

[ads1]

তবে শেষমেশ এই ভয়াবহ সংক্রামক ভাইরাসের চিকিত্সায় বিকল্প পথে আশার আলো খুঁজে পেয়েছে বলে জোর দাবি করেছে ভারতের দিল্লি আইআইটির একদল গবেষক। এই প্রতিষ্ঠানের বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের গবেষকরা জাপানের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্স ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির’ সঙ্গে যৌথ ভাবে গবেষণা চালিয়ে দাবি করেছেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে এক ‘যাদুর কাঠির’ নাগাল পেয়েছেন তারা। আর তা হচ্ছে —অশ্বগন্ধা! তাদের দাবি, করোনার চিকিৎসায় ‘অব্যর্থ দাওয়াই’ হবে তাদের এই আবিষ্কার।

তারা বলছেন, অশ্বগন্ধার মধ্যে ‘উইথানন’ (Withanone) নামের একটি রাসায়নিক রয়েছে যেটি কোভিড-১৯-এর এনজাইমের বিস্তার রোধ করে দিতে পারে। তাই হাজার চেষ্টা করলেও শরীরে বংশবৃদ্ধি করতে পারবে না করোনা জীবাণু। অর্থাৎ, মানুষের শরীরে করোনা সংক্রমিত হওয়া আর ‘ভাইরাল লোড’ বৃদ্ধির প্রক্রিয়া আটকে দেয় এই রাসায়নিক।

ঐ গবেষকদের দাবি, মানুষের শরীরে এই রাসায়নিকের কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় নেই বললেই চলে। তাদের আশা, করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে অশ্বগন্ধার এই রাসায়নিক অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠবে। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য তৈরি করে দেবে। ভারতে অতিপ্রাচীন এই আয়ুর্বেদ শাস্ত্র চিকিৎসাক্ষেত্রে ব্যাপক চর্চিত বিষয়। সত্যিই যদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই এই আবিষ্কার করোনা থেকে মুক্তি দিতে পারে তবে সেটা হবে শতাব্দীর অন্যতম এক অর্জন। –জি নিউজ

বাংলার শিরোনাম ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

সর্বশেষ সংবাদ