বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

সিসি ক্যামেরায় ভোট নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ বক্তব্য দিতে বারণ করল ইসি

সিসি ক্যামেরায় ভোট নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ বক্তব্য দিতে বারণ করল ইসি

সিসি ক্যামেরায় ভোট নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ বক্তব্য দিতে বারণ করল ইসি

সিসি ক্যামেরায় ভোট নিয়ে ‘বিভ্রান্তিকর’ বক্তব্য দিতে বারণ করল ইসি

সিসি ক্যামেরায় ভোট নেওয়ায় মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন হয়- এমন বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলে দাবি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যাঘাত ঘটে এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য না দিয়ে আইন অনুযায়ী যথাযথভাবে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।

রোববার (২৩ অক্টোবর) ইসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছে ইসি। সম্প্রতি একজন মন্ত্রীর এমন বক্তব্য দিলে তা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যার প্রেক্ষিতে ইসির পক্ষ থেকে এমন বক্তব্য দেওয়া হলো।

এতে বলা হয়, ভোটকক্ষের গোপন বুথে সিসি ক্যামেরা স্থাপন নিয়ে কারো কারো বক্তব্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। প্রচারিত বক্তব্যমতে ভোটকক্ষের গোপন বুঝে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে কে কাকে ভোট দিচ্ছে তা দেখা মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন। গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সেই কাজটি করে নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করেছে। এ ধরনের বক্তব্য মোটেও সঠিক নয় এবং বিভ্রান্তিকর।

ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের নির্বাচনে ভোটকক্ষে ভোট প্রদানের সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং-এর জন্য নির্বাচন কমিশন ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছিল। গোপন কক্ষে ভোটার কাকে ভোট দিলেন তা দেখার কোনো সুযোগ নেই। তবে গোপনকক্ষে ভোটারের সাথে কেউ প্রবেশ করল কি না বা ভোটার ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করল কি না, একই সঙ্গে একাধিক ব্যক্তি প্রবেশ করল কিনা, ভোট প্রদানের সময় কেউ উঁকি দিয়ে দেখে কিনা বা পাশে দাঁড়িয়ে কোনো নির্দেশ প্রদান করল কিনা তা দেখা যায়।

ইভিএমে ভোট নিয়ে প্রচারণা চালানো হয়েছে এমনটা জানিয়ে ইসি বলছে, ইডিএম এ কিভাবে ভোট প্রদান করতে হয় সে বিষয়ে ভোটার শিক্ষার জন্য প্রচারণা করা হয়েছে। এছাড়া একজন ভোটারকে ভোট প্রদানের জন্য গোপনকক্ষে প্রবেশের পূর্বেই সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাগণ ডামি ব্যালট ইউনিটে দেখিয়ে দেন কিভাবে ভোট দিতে হবে। কাজেই ভোট কিভাবে দিতে হবে এটা দেখানোর জন্য ভোটারের সাথে গোপনকক্ষে অন্য কারো প্রবেশের কোনো সুযোগ নেই।

ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৩১(৭) ধারা অনুযায়ী ভোটার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বা অন্যভাবে এরূপ অক্ষম হন যে তিনি কোনো সঙ্গীর সাহায্য ছাড়া ভোট প্রদান করতে পারবেন না সে ক্ষেত্রে প্রিজাইডিং অফিসার ঐ ভোটারের পছন্দমতো ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিকে তার ভোটপ্রদানে সাহায্য করার জন্য গোপন কক্ষে নিতে পারবেন। তার সাথে কোনোভাবেই কোনো ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তা, এজেন্ট বা অন্য কেউ গোপন কক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না। অর্থাৎ বিষয়টি খুবই স্পষ্ট যে ভোটকক্ষে সিসি ক্যামেরা স্থাপনে কোনক্রমেই ভোট প্রদানের গোপনীয়তা নষ্ট হয় নাই।

ভোটারের সব ধরণের গোপনীয়তা রক্ষায় ইসি কাজ করে এমনটা জানিয়ে ইসি বলছে, নির্বাচন কমিশন প্রতিটি ভোটারের ভোট প্রদানের গোপনীয়তা রক্ষায় আইন অনুযায়ী সকল ব্যবস্থাই গ্রহণ করে থাকে। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যাঘাত ঘটে এমন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান না করে আইন অনুযায়ী যথাযথভাবে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করার জন্য নির্বাচন কমিশন সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর

বাংলার শিরোনাম ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন