বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

মাদকের বিষয় এনে হত্যার তদন্ত বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে: ফারদিনের বাবা

মাদকের বিষয় এনে হত্যার তদন্ত বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে: ফারদিনের বাবা

মাদকের বিষয় এনে হত্যার তদন্ত বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে: ফারদিনের বাবা

মাদকের বিষয় এনে হত্যার তদন্ত বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে: ফারদিনের বাবা

বুয়েটছাত্র ফারদিন নূর পরশের মরদেহ উদ্ধারের পর তাঁর খুনের পেছনে ‘মাদকাসক্তির’ সম্পর্ক থাকার যে কথা র‌্যাব বলেছে, তাতে এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তাঁর বাবা কাজী নুর উদ্দিন।

আজ সোমবার বুয়েট ক্যাম্পাসে ফারদিন হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চেয়ে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি করেন তিনি।

ফারদিনের মাদক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে নুর উদ্দিন বলেন, ‘আমার তিন সন্তানের কেউ ধূমপান পর্যন্ত করে না। আমার সন্তান বুয়েটের ক্যাম্পাসে ছিল, উদ্ভাসের শিক্ষক ছিল, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে যেত। কেউ বলতে পারেনি সে ধূমপান করত। যে ব্যক্তি ধূমপান করে না, সে কখনো ফেনসিডিল আসক্ত হতে পারে না। আর এই মাদকের বিষয়টাকে সামনে এনে তদন্ত বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। সত্যি বিষয়টা বের করতে হবে- কি কারণে তাঁকে বুশরার কাছে যেতে হলো।’

বুয়েটছাত্র ফারদিন হত্যা: বান্ধবীকে আসামি করে মামলাবুয়েটছাত্র ফারদিন হত্যা: বান্ধবীকে আসামি করে মামলা
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আস্থা রাখছি। তাঁরা দায়িত্বশীল তদন্ত করবেন। কারণ আমার সন্তান কারও শত্রু নয়। এমনকি আমার পেশাগত জীবনেও কোনো শত্রু তৈরি করিনি। র‍্যাব, ডিবি, পিবিআইয়ের ওপর আমি আস্থা রাখতে চাই। আমি কখনো চাই না আমার আস্থা ভেঙে যাক। তাঁরা তদন্ত করে প্রকৃত খুনিদের চিহ্নিত করবেন। তাঁরা আমাদের কাছ থেকে বিভিন্ন তথ্য নিয়েছেন। তবে আমাদের এখন পর্যন্ত কোনো আপডেট জানাননি।’

বুয়েটের শহীদ মিনারের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন ফারদিনের পরিবারের সদস্য ও সহপাঠীরা।

লিখিত বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, ‘ইতিমধ্যে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধারের সাত দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের বরাতে জানা যায়, এখন পর্যন্ত প্রকৃত হত্যাকারী চিহ্নিত হয়নি এবং হত্যার কারণ এখনো পরিপূর্ণভাবে উদ্‌ঘাটিত হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর তদন্তের ওপর আমরা আস্থাশীল। আমরা বিশ্বাস করি তারা সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে ফারদিন হত্যার তদন্ত চালিয়ে যাবেন এবং দ্রুততম সময়ে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসবেন।’

ফারদিনের সহপাঠী মাশিয়াত জাহিন বলেন, ‘ফারদিন জ্ঞান চর্চা করত। মাদকের সঙ্গে সে জড়িত ছিল এটা আমাদের কাছে ইরিলিভেন্ট মনে হচ্ছে। এ কারণে যাতে তদন্ত বাধাগ্রস্ত না হয়।’ আরেক সহপাঠী শরিফুজ্জামান শফি বলেন, ‘ফারদিন কখনো ধূমপান করত না। সুতরাং মাদকের খোঁজে সে গেছে এটা ভিত্তিহীন। আমরা আমাদের সহপাঠী হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।’

গত ৪ নভেম্বর ফারদিন নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর বাবা ৫ নভেম্বর রামপুরা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ফারদিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

সম্পর্কিত খবর

বাংলার শিরোনাম ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন