রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

বিএনপির আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে রাজপথে নেমেছে : মোশাররফ

বিএনপির আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে রাজপথে নেমেছে : মোশাররফ

বিএনপির আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে রাজপথে নেমেছে : মোশাররফ

বিএনপির আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে রাজপথে নেমেছে : মোশাররফ

বিএনপির চলমান আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে রাজপথে নেমেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, জনগণ বলছে এই নব্য স্বৈরাচার ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। তাদের সময় শেষ। সব দেশপ্রেমিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাবো।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

আজকে জনগণ আওয়াজ তুলেছে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে- এমনটা উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, সেজন্য আমরা জনগণের পক্ষে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোসহ দশ দফা দাবি ঘোষণা করেছি। ২৪ ডিসেম্বর পুলিশ সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় বাধা দিয়েছে। পঞ্চগড়ে একজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। তবুও কিন্তু গণমিছিল ঠেকাতে পারেনি। ৩০ ডিসেম্বর ঢাকার গণমিছিলও সফল হবে।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মামলার আসামি না হয়েও কারাগারে। তাদের পরে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, আমাদের গণসমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্বরোচিত ক্র্যাকডাউন চালিয়েছে। যা স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ চিন্তাও করতে পারে না। অফিসে লুটপাট ও তছনছ করেছে। প্রায় সাড়ে চারশ নেতাকর্মীকে একসঙ্গে গ্রেপ্তার করেছে। তারা ঢাকাসহ সারাদেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারপরও আমাদের গণসমাবেশ ঠেকাতে পারেনি।

জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে গণসমাবেশ সফল করেছে দাবি করে বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, সরকার তাদের পেটুয়া বাহিনী দিয়ে গণসমাবেশ বানচাল করতে চেয়েছিল। রাস্তায় অবরোধ ও পরিবহন ধর্মঘট করেছে। ৯ জনের বেশি কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। তবুও কিন্তু আমাদের বিভাগীয় ও ঢাকার গণসমাবেশ পণ্ড করতে পারেনি। বরং গণসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল।

সরকার গায়ের জোরে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে দাবি করে মোশাররফ আরও বলেন, এখন দ্রব্যমূল্য লাগামহীন, মধ্যবিত্তরা দরিদ্র হয়ে গেছে। সেজন্য জনগণ এ সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। বিচার ব্যবস্থা দলীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করেছে। এই সরকার বিচার বিভাগ মেরামত করতে পারবে না।

সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য বিএনপির ছয় শতাধিক নেতাকর্মী গুম করেছে দাবি করে মোশাররফ বলেন, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ শতশত নেতাকে গুম করেছে সরকার। ৩৫ লাখের বেশি নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক ডা. মো. ফখরুজ্জামান ফখরুলের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. এমএ সেলিম, ডা. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

সম্পর্কিত খবর

বাংলার শিরোনাম ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন