গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী এলাকা থেকে নিখোঁজ শিক্ষক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ভোরে নিমতলী হায়দ্রাবাদ ব্রিজ এলাকায় প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- টঙ্গীর শহীদ স্মৃতি স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিয়াউর রহমান মামুন ও তার স্ত্রী আমজাদ আলী স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা জেলি আক্তার।
নিহত শিক্ষক দম্পতির ছেলে মো. মিরাজ বলেন, টঙ্গীর কামারজুরি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গাড়িতে করে বাবা-মা স্কুলের উদ্দেশে বের হন। স্কুল শেষে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু এরপর থেকে তাদের কোনো খোঁজ-খবর পাওয়া যাচ্ছিল না।
আমরা রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাচ্ছিলাম না। ভোরের দিকে হায়দ্রাবাদ ব্রিজ এলাকা থেকে গাড়ির ভেতর চালকের আসনে বাবা ও পাশে মায়ের মরদেহ পাওয়া যায়। সেখান থেকে প্রথমে তাদের তায়রুন্নেছা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে উত্তরার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
গাজীপুর মহানগরের গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নন্দলাল চৌধুরী বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে পুরো ঘটনাটিই রহস্যঘেরা মনে হচ্ছে। বিষক্রিয়া থেকে তাদের মৃত্যু কিনা কিংবা পূর্বশত্রুতাবশত হত্যাকাণ্ড কিনা—এসব বিষয় নিয়ে পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
তিনি যোগ করেন, নিহত প্রধান শিক্ষক ড্রাইভিং সিটে ছিলেন। তার হাতটিও গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে ছিল। তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনও পাওয়া গেছে। জিয়াউর রহমান মামুন ও তার স্ত্রীর মানিব্যাগ ও ভ্যানিটি ব্যাগও গাড়িতেই ছিল। সবমিলিয়ে রহস্য উদঘাটনে কাজ চলছে।