রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

নাটোরে ‘ইমো হ্যাকিং’ গ্রুপের ৭ জন আটক

নাটোরে ‘ইমো হ্যাকিং’ গ্রুপের ৭ জন আটক

নাটোরে ‘ইমো হ্যাকিং’ গ্রুপের ৭ জন আটক

নাটোরে ‘ইমো হ্যাকিং’ গ্রুপের ৭ জন আটক

প্রবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ইমো অ্যাপস ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে নাটোরের লালপুর উপজেলা থেকে সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ৫০ থেকে ১২টা ৫০ পর্যন্ত উপজেলার বিলমাড়িয়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র‌্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্প সিপিসি-২ কোম্পানি অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ফরহাদ হোসেন।

এসময় নয়টি মোবাইল ফোন, ১৫টি সিমকার্ড, একটি ডিভিআর সেট, ১৫ হাজার নগদ টাকা এবং দুই বোতল ফেন্সিডিল জব্দ করা হয়।

প্রতারণার শিকার কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার কচুয়াদহ কামিরহাট এলাকার মো. দবির মণ্ডলের ছেলে মো. মনিরুল ইসলামের (৩৮) অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে মো. ফরহাদ হোসেন ও কোম্পানি উপ-অধিনায়ক সহকারী পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম নেতৃত্ব দেন।

আটকরা হলেন- রাজশাহীর বাঘা থানার খানপুর এলাকার মো. বেলাল মণ্ডল (২৯), নাটোরের লালপুর উপজেলার মোহরকয়া এলাকার মো. মেহেদী হাসান (২৪), একই উপজেলার মোহরকয়া খাঁ পাড়ার মো. মোহন সরকার (১৯), মনিহারপুর এলাকার মো. শিমুল আলী (১৯), ভাঙ্গাপাড়া এলাকার মো. শাহ পরান সরকার (১৯), মোহরকয়া এলাকার মো. রবি (২২), এবং নাগসোসা এলাকার মো. রুবেল মণ্ডল (৩২)।

ফরহাদ হোসেন বলেন, “ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলামের এর চাচাতো ভাই মো. ওয়াসিম একজন সৌদি প্রবাসী। মনিরুল তার ভাইয়ের কথায় শ্রমিকের বিল দেওয়াসহ নানা কারণে অনেককে বিকাশে টাকা পাঠিয়েছিলেন।

গত ২৫ অক্টোবরও ওয়াসিমের ইমো নম্বর থেকে মেসেজ পেয়ে কয়েক ধাপে বেশ কিছু বিকাশ নম্বরে মোট এক লাখ ২০ হাজার ৮৬০ টাকা পাঠান মনিরুল। কিছুক্ষণ পর মোবাইলে মনিরুলকে তার ইমো একাউন্ট হ্যাক হয়েছে বলে জানান ওয়াসিম। তখন মনিরুল সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র বিকাশের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে বলে বুঝতে পারেন।”

“বিকাশ সূত্রে ভুক্তভোগী জানতে পারে তার একাউন্ট থেকে লেনদেন হয়েছে নাটোর এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি নাটোরের বড়ইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাইপাস মোড় এলাকায় র‌্যাবের টহল দলের কাছে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি জানান।

পরে অভিযান চালিয়ে সেই ইমো হ্যাকিং চক্রের সাত জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।“

র‍্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা প্রবাসীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ইমো নম্বর হ্যাক করে পরিচিত মানুষদের কাছ থেকে প্রতারণা পূর্বক মোবাইল ফিন্যান্সিং সার্ভিসের মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে।“

এ ঘটনায় ভূক্তভোগী মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে লালপুর থানায় আটকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি মামলা করেছেন।

এছাড়া তল্লাশীর সময় আসামি মো. রবির কাছে থেকে উদ্ধার করা মাদকের জন্য র‌্যাব বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মাদক মামলা করা হয়েছে বলে জানান ফরহাদ হোসেন।

সম্পর্কিত খবর

বাংলার শিরোনাম ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন