সোনাগাজীতে দিনদুপুরে মালিককে কুপিয়ে জুয়েলারি দোকানে লুটপাট চালায় অজ্ঞাত ডাকাতদল। ঘটনাটি রোববার দুপুরে উপজেলার চরছান্দিয়া ইউনিয়নের জমাদার বাজারের অর্জুন জুয়েলারি নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঘটে। এ সময় ডাকাতরা মালিক অর্জুন ভাদুড়িকে কুপিয়ে গুরতর জখম করেন। লুটপাট শেষে ককটেল ফাটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্প্রিন্টারে লেদু মিয়া নামের স্থানীয় ব্যক্তি আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার সময় দুপুরে বাজারের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল এবং বাজারে জনসমাগম ছিলনা। এ সুযোগে দুইটি মোটরবাইকে হেলমেটপরা ৬ ব্যক্তি বাজারে এসে মসজিদ রোড় হয়ে অর্জন জুয়েলারিতে প্রবেশ করেন মালিক অর্জুন ভাদুড়িকে কুপিয়ে গুরতর জখম করেন। পরে তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রক্ষিত স্বর্ণালংকার লুটে নেয়। এ সময় অর্জুনের আত্মচিৎকারে পাশের দোকানে অবস্থানরত লেদু মিয়া এগিয়ে গেলে ডাকাতদল তার দিকে ককটেল নিক্ষেপ করলে সে আহত হয়। ককটেলে আওয়াজে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে ডাকাত দল পুনরায় কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে দাসের হাটের দিকে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ফয়সাল বলেন, প্রথম ককটেলে আওয়াজ শুনে আমরা ঘটনাস্থলের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে ডাকাতদল ফের ককটেলের বিস্ফোরন ঘটিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আমরা তাদের ধাওয়া করি। পরে আমিসহ অপর এক ব্যাক্তি মোটরবাইকে তাদের পিছু পিছু যায়। দাশেরহাটের পৌঁছলে ডাকাতদল আমাদের ধাওয়া করলে আমরা সটকে পড়ি। পরে তারা দরগারহাট সড়ক হয়ে মঙ্গলকান্দির দিকে পালিয়ে যায়।
আহত অর্জুন ভাদুড়ির ভাতিজা মানিক ভাদুড়ি জানায় তা চাচার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়াতে তাকে চিকিৎসার জন্য চমেকে ভর্তি করা হয়েছে। চাচা অচেতন থাকায় কত টাকার স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে জানাতে পারেনি।
এদিকে লুটের খবর পেয়ে ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন। এ সময় মডেল থানার ওসি খালেদ হোসেন দাইয়ান উপস্থিত ছিলেন।
ওসি জানায়, ঘটনাস্থল থেকে আলমত হিসেবে একটি চোরা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের শনাক্ত শনাক্ত করতে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। আহত ব্যবসায়ীর জবানবন্দি পেলে ঘটনার বিষয়ে আরো তথ্য জেনে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।