অর্থ পাচারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অর্থ পাচারকারী এমন অনেকের তথ্য আমার কাছে আছে।আমি সোজা কথা বলি, অনেক স্বনামধন্যের তথ্য আমার কাছে আছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আর বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সামনে তাদের নাম আসবে।
সদ্য সমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে বুধবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে গত সপ্তাহে শেখ হাসিনার দিল্লি সফরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর পানি বণ্টনও রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন সরকার প্রধান। যে কোনো একটি দেশে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে ফিরে এসে সরকার প্রধানের সংবাদ সম্মেলনের চল বহুদিনের। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফর শেষে নিয়মিত এ সংবাদ সম্মেলন করে থাকেন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রীর কাছে একজন সাংবাদিক অর্থপাচার ও ডলারের দাম নিয়ে সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অর্থ পাচারকারী এমন অনেকের তথ্য আমার কাছে আছে, সেটা আপনারা লিখবেন কি না- সন্দেহ। অনেক স্বনামধন্যের তথ্য আমার কাছে আছে। দুর্নীতি দমন কমিশন আর বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সামনে তাদের নাম আসবে। তবে আপনারা ছাপাবেন কি না, আমি সেটা দেখব।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দ্বিতীয় কথা হচ্ছে- অর্থপাচারকারীর তথ্য নেওয়া হচ্ছে। সুইস ব্যাংকে কিন্তু আমরা বহু আগে ডিমান্ড পাঠিয়েছিলাম। আমরা তালিকা চেয়েছিলাম। কিন্তু তালিকা আসেই নাই। সবাই হাওয়ায় কথা বলে যায় কিন্তু কেউ সঠিক তথ্য দিয়ে বলে না।
‘মানিলন্ডারিং বন্ধে যথেষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ডলার সংকট বাংলাদেশের একার না, বিশ্বব্যাপী। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর আমেরিকা স্যাংকশন (নিষেধাজ্ঞা) দিল, তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে গেল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডলার নিয়ে কিছু একটা খেলা শুরু হয়েছিল, কিন্তু ভালোভাবে নজরদারি করা হয়েছে বলেই আজকে একটা স্থিতিশীল পরিস্থিতি আছে। কিন্তু সংকট তো আন্তর্জাতিক বিষয় থেকে এসেছে।